Loading...

জীবনের গল্প


 

 
 


এই তো সেদিন!!!!!!!!
তুমি আর আমি দুজনে কতটায় না কাছাকাছি ছিলাম। আমার হাজার কষ্টের ভিড়ে তোমার নিস্পাপ মায়াবী চোখের অপলক চাহনিতে হারিয়ে যেতাম স্বপ্নরাজ্যের দেশে। তুমি ছিলে আমার ক্লান্ত দুপুরের এক পশরা হিমেল হাওয়া। তোমার ভিতরে আমি খুজে পেয়েছিলাম আমার আপন ঠিকানা, আমার মন প্রাণ সবকিছু তোমাতে উজাড় করে দিয়েছিলাম সামান্য সুখ কিনবো বলে।  কতটায় সুখে ছিলাম আমরা, কিন্তু এখন!!!!
তোমার ভালবাসা আমাকে আর আগের মতো ছুয়ে যায় না, কিন্তু এটা ভেবো না যে আমি আজো তোমার ভালবাসার সীমানা টপকাতে পেরেছি!!!!!

তোমার মিষ্টি ঠোটের দুষ্টু হাসিগুলো আর আগের মতো আমাকে মাতায় না, তবু আমি তোমার হাসিমাখা মুখটি ভুলতে পারিনি!!!!! তোমার ভালবাসার ছোয়া আজ আমার হৃদয় রাঙ্গায় না, কিন্তু তোমার দেওয়া দুখের দাবানল আজো আমাতে ঝলসিয়ে দেই!!! তোমার ভালবাসার ভেলা আজ আর আমাকে ভাসায় না, তাই বলে কিন্তু আমি ডুবতে পারছি না তোমার দেওয়া দুখের সাগরে । তোমার কথাগুলো আজ আর মধুর সুর হয়ে কানে বাজে না। তাই বলে কিন্তু অন্য কোন সুর আমার কান শোনে নি আজও। তোমার ছোয়া আজ শিহরণের সৃষ্টি করে না...... !!!!
তবে তাই বলে কিন্তু আজও এ মন শিহরিত হয় না অন্য কারো ছোয়ায়.........!!!!

তুমি চলে গেছো তাতে আমার কোন ক্ষোভ নেই, সুধু দুকখ এখানে যে তোমার জন্য রাখা শুন্য যায়গাটি শত চেষ্টা করেও পূর্ণ করতে পারছি না। কেমন করে করবো বলো!!! আমি তো তোমাকে ভুলে যাওয়ার জন্য ভালবাসি নি।
তোমার কাছে ভালবাসাটা একটা মিথ্যা ছলনা ছিল মাত্র!  কিন্তু আমার ভালবাসার মধ্যে কোন ছলনা ছিল না।
ভালবেসেছিলাম তোমায়, ভালবাসি আজো, আর যত দিন এ দেহে থাকবে প্রাণ গেয়ে যাব তোমার ভালবাসার গান।

কি ভাবছো????? তুমি আমাকে ঠকিয়ে জিতে গেছ???? একবার নিজেকে প্রশ্ন করে দেখতো জিততে পেরেছ কি না?
আমার মনে হয় পারনি, কারন তুমি এমন একজনকে হারিয়েছ যে তোমাকে তার জীবনের চাইতে বেশি ভালবাসতো, সে তোমার জন্য নিজের জিবনের কঠিন মুহূর্তগুলো ও মোকাবেলা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞবদ্ধ ছিল।
আর সে এমন একজনকে হারালো যে তাকে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে, তাহলে এখানে জিতটা কার হলো তুমি একবার ভেবে দেখো তো!!!

জীবনে টাকা-পয়সা ধন-সম্পদ আসে আবার হারিয়েও যায়, এগুলো একবার হারিয়ে গেলে তা আবার ফিরে পাওয়া যায়!!  কিন্তু চলার পথে এমন কিছু স্মৃতি মানুষের মনের অগোচরেই সৃষ্টি হয়ে যায়, যা হারিয়ে গেলে  হাজার চেষ্টা করেও ফিরে পাওয়া যায় না। আমার মাঝে মাঝে খুব কষ্ট হয় যানো!!! যখন তোমার যন্ত্রনা গুলো আমার হৃদয় পাজর ভেঙ্গে বের হয়ে আসার জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করে। সামলাতে পারিনা , সামলাতে পারি না আমার চোখের অশ্রুবিন্দু। আজো তোমার জন্য চোখের জল ঝরে আমার, বলোতো আর কত কাদালে আমার ভালবাসা খাটি হবে? আর কত কষ্ট দিলে তুমি সুখি হবে।

সব কিছু শুরু হয়েছিল হঠাত করেই ............!!!!!
বুঝে উঠতে পারিনি নিজেকে, তোমাকেও।  বুঝতে পারিনি কেমন করে এটা হলো। তোমাদের বাড়িতে প্রতিনিয়ত আমার যাওয়া আসা ছিল ঠিক তখন। আসলে তোমাদের বাড়ি যাওয়ার মুল উদ্দেশ্য ছিল তোমার ছোট বোনটি। ও তখন খুব ছোট ছিল, একেবারে দুধে ভাতে বল্ললেই চলে। আমার ওকে আদর করতে খুব ভাল লাগতো, তাই তোমাদের বাড়িতে প্রতিনিয়ত যেতাম আমি। তখন তুমি কেবল ক্লাস ৮ এ পড়ো। অবশ্যই প্রথমত তোমাকে আমি সহ্য করতে করতে পারতাম না। আমি কোন বিষয়ে পজেটিভ ধারণা করলে তুমি করতে তার উল্টোটা। তুমি সব সময় আমার চিন্তাধারার বিপরীতে ছিলে। কখনো ভাবতে পারিনি সেই অসহ্য মেয়েটা আমার জীবনের মোড়টাই বদলে দেবে। আসলে আমার ভালবাসাটা বড্ড বেশি হয়ে গিয়েছিল। সে জন্যই তো তুমি আমার ভালবাসার যোগ্য উপহার টা দিয়ে দিলে। আমি কখনো কল্পনা করতে পারিনি তোমার কাছ থেকে এত বড় উপহার পাব। এতটা কষ্ট কেন দিলে আমার? আমি কি অন্যায় করেছিলাম তোমার কাছে? তুমি কী কষ্ট দেয়ার আর কোন মানুষ পেলে না!!

কখনো কি ভুলতে পারবো তোমার বাড়ির মাঝ দরজাটার কথা!!!! যেখানে আমি তোমাকে জিবনের প্রথম কিস করেছিলাম। আমি অবশ্য প্রথমে বড্ড বেশি ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু তোমার নিরব থাকাটা আমাকে সাহস যুগিয়েছিল। সে দিন তোমার চোখের জল দেখে আমি ঘাবড়ে গেছিলাম যে আমি কোন ভুল করছি না তো!!!! কিন্তু পরবর্তীতে তোমাকে হ্যাপি দেখে আমার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছিল!

ভুলতে কী পারবো কখনো সেই সব দিনের কথা!!! সুযোগ পেলেই তোমার দুষ্টুমি, তোমার চিমটি দেওয়ার কথা। পারবো না, কখনো পারবো না!!! যানো তোমার চিমটি দেওয়ার একটা দাগ এখনো আমার হাতে আছে। একেবারে চাদের মতো হয়ে।  হয়তো বা তুমি আর কখনো আসবে না ফিরে আমার জীবনে আশার প্রদীপ নিয়ে! কিন্তু এ দাগটা আমাকে বলে দেবে তুমি কেমন আছো, বলে দেবে তোমার আমার ভালবাসার কথা, যতই চেষ্টা করি না কেন ভোলার হয়তো বা এ দাগ তোমাকে আমার ভুলতে দেবে না!!
তোমার রাগ, তোমার অভিমান এখনো আমার মনের ভিতর আনমনে খেলা করে!!! যখন আমি খুব একাকিত্ব ফিল করি তখন তোমার রেখে যাওয়া এসব স্মৃতিগুলো আমার মনটা ভালো করে দেয়। তুমি হারিয়ে গেছ ঠিকই কিন্তু তোমার স্মৃতি গুলো তো হারায় নি আমার থেকে।

আর কখনো পাবো না ফিরে তোমার, কিন্তু আজো তোমার পথপানেই চেয়ে আছি। আমি তোমাকে এতটায় বিশ্বাস করেছি যে তোমার শুন্যস্থান আমি কখনো পূরণ করতে পারবো না।
বাড়ি থেকে বাবা- মা বার বার বিয়ের জন্য জোর করছে।  তোমার থেকে অনেক সুন্দর, অনেক ভাল মেয়েও পাবো আমি আশা করি। তবে তাদের ভিতরে তো তোমাকে পাব না। তোমাকে এতটায় ভালবেসেছি যে অন্য কোন মেয়ে আমার জিবনে অসম্ভব। তাই যতদিন বাচবো তোমাকে ভালবেসে বাচবো। আরে অনেকেই তো বিয়ে না করেই সারাজিবন কাটিয়ে দেয়। হয়তো তাদের ভিতরে আমি ও একজন হয়ে গেলাম।

তোমার মনে আছে রাজকন্যা!!!! তোমার নানা বাড়ির কথা!! যেদিন আমি তোমার সবচেয়ে কাছাকাছি ছিলাম! সেদিনও তুমি চোখের জল ঝরিয়েছিলে। আমি তোমার চোখের জলের বড্ড ভয় পায় যানো!! সে জন্য সেদিন তোমাকে আমার মতো ভালবাসতে পারিনি। কিন্তু আজ মনে হয়, হয়তোবা সেদিনের সেই অপরাগতা আমাদের ভালবাসাকে চিরদিনের জন্য আলাদা করে দিয়েছে। কিন্তু সত্যি বলছি সে দিন তোমার চোখের জল ছাড়া আর কোন কারণ ছিল না। তোমার চোখের জল আমাকে বাধ্য করেছিল তোমাকে আমার থেকে দুরে রাখতে। কিন্তু আজ মনে হয় কেন আমি তোমার থেকে দুরে চলে আসছিলাম!!! কেন আরো একটু কাছা কাছি হলাম না!!!! কেন আরও ভালবাসলাম না!!! আজ কেন জানি ডল্সটওয়ার এর কথাটি বড্ড বেশি মনে পড়ছে। তিনি বলেছিলেন- "তোমার যদি কিছু করার থাকে তাহলে তুমি এখনি করো, তোমার যদি কিছু বলার থাকে তাহলে এক্ষনি বলো। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করো না, কারণ ভবিষ্যত একটা মরিচিকা মাত্র।"

সেদিন শুধু আমি চিন্তা করেছিলাম এখনো সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে না। আর তোমাকে যখন ভালই বাসি তখন তুমি শুধু আমার। কিন্তু সেই তুমি আর আজকের তুমি আকাশ মাটির ব্যবধান। সেদিনের সেই তুমি ছিলে আমার যত্নে লাগানো শিউলী গাছের একগুচ্ছ শিউলিফুলের মতো নিস্পাপ। আর আজকের তুমি!!!!!!!!!!!!!

আমি কখনো কল্পনা করতে পারিনি যে, তুমি অন্তত আমাকে ভুল বুঝবে। আরে আমি তোমার জন্য কি না করেছি বলো!! তুমি যদি চাইতে তোমাকে পেতে হলে আমাকে সাত সমূদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে সাতটি সোনালী পদ্ম এনে দিতে হবে, তুমি যদি চাইতে তোমার জন্য আমার বুকটা চিরে দেখাতে হবে। তুমি যদি চাইতে তোমার জন্য আমাকে সবকিছু ত্যাগ করতে হবে। আমি তাই করতাম!!! কিন্তু তুমি কেন আমার তোমাকে ভুলে যেতে বললে? কেন আমাকে এতবড় যন্ত্রনা দিলে। তোমাকে ভুলতে হল আমার নিজেকেই ভুলে যেতে হবে।

তুমি কিন্তু চাইলে আমার মতো ছেলেকে একটা ভাল মানুষ হিসাবে তৈরী করতে পারতে। শোন টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদ থাকলেই কিন্তু সুখি হওয়া যায় না। আর আজ হয়তো বা আমার কিছুই নেই কিন্তু আল্লাহ দিলে পেতে কতক্ষণ। মনে সুখ থাকলে সবকিছূই সম্ভব। কিন্তু তোমাকে অর্থের মোহ এতটায় অন্ধ করে দিয়েছে যে, তুমি নিজেকে অনেক বড় কিছু মনে করো। অহংকার তোমার চিন্তাধারাকে ক্ষিন করে তুলছে। হয়তো কখনো বুঝতে পারতে পারবে। কতটায় ভুল পথে চলেছ তুমি। আবার হয়তো বুঝবেও না। কারণ অহংকার তোমাকে অন্ধ করে দেবে।

রাজকন্যা তোমার কী মনে আছে সেদিনগুলোর কথা!!!!! আমি খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেই তোমাদের বাড়িতে যেতাম তোমার ঘুম ভাঙ্গাতে। কত কিছুই না করতাম তোমার ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য, তবু তোমার দুষ্টু ঘুমগুলো যেন তোমাকে ছাড়তে চাইতো না। তারপরও আমি ছিলাম নাছোড় বান্দা। শেষ বেশ তোমাকে জাগিয়েই ছাড়তাম আমি। এর জন্য তোমার কাছে, তোমার আম্মুর কাছে প্রায়ই বকুনি খেতাম আসলে  সকালে উঠেই তোমার মিষ্টি মুখখানি না দেখলে আমার দিনটায় যেন ভাল কাটতো না। তোমার অভিমান মাখা কণ্ঠ, তোমার রাগন্বিত হাসি, তোমার আদুরিত অনুভুতি এগুলো প্রতিদিন না পেলে আমি মিস করতাম খুবই। কিন্তু আজ আর সকালে উঠেই তোমার বাড়িতে যেতে পারি না, আজ আর তোমার ঘুম ভাঙ্গাতে পারি না। আজ আর তোমার মিষ্টি মুখখানি দেখার সৌভাগ্য হয় না আমার। শুনতে পায় না তোমার সেই অভিমান মাখা মধুর কণ্ঠ ধ্বনি, দেখতে পায়না তোমার রাগন্বিত দুষ্ট হাসি, স্পর্শ করতে পারিনা তোমার আদুরিত অনুভুতি। তবুও আজও খুব সকালেই  ঘুম ভেঙ্গে যায় আমার। আজ আর তোমাকে ঘুম ভাঙ্গাতে না পারলেও তোমার স্মৃতিগুলোকে ঘুম ভাঙ্গায় আমি। আজ আর তোমার মিষ্টি মুখখানা না দেখলেও আমার মনের ক্যানভাসে তোমাকে আকি অবিরত। হয়তোবা আজ আর তোমার অভিমান মাখা কণ্ঠস্বর আমি শুনতে পায় না তবু তোমার রেখে যাওয়া স্মৃতির প্রতিধ্বনি আমাকে মুখরিত করে। তোমাকে যখন খুব মিস করি তখন তোমার স্মৃতিগুলো আমাকে তোমার শুন্যতা পূরণ করে দেয়। আজ হয়তো ভাবতে খুব কষ্ট হয় যে, তুমি আমার থেকে অনেক দুরে চলে গেছ। আজ হয়তো আমার ভাবতে খুব কষ্ট হয় যে, যে ছেলেটা তোমাকে এতটায় ভালবাসে সেই ছেলেটা তোমার কাছে পৃথিবীর সব থেকে খারাপ মানুষ। তবুও নিজেকে সামলে নিই। মাঝে মাঝে নিজেকে মনে হয় শেষ করে দিই। কিন্তু তোমার স্মৃতিগুলো আমাকে বাচতে অনুুপ্রেরণা যোগায়। তোমার স্মৃতিগুলো আমাকে শেখায়, কেন মরবে তুমি!!! তোমার তো কোন দোষ নেই, তুমি তো কোন ভুল করো নি, শুধু হৃদয় থেকে ভালবেসেছিলে। আর ভালবাসা তো কোন অপরাধ না। তবে কেন মরতে চাও তুমি!!!! মরলেই কী সব সমস্যার সমাধান মিলে!!! কখনো না।।।
তোমার স্মৃতিগুলো আমাকে শেখায় যে ভালবাসা কখনো হারতে শেখেনি। ভালবাসা অমর। ভালবাসা চিরন্তন। তাই হয়তো আজও বেচে আছি তোমার রেখে যাওয়া স্মৃতিগুলো বুকে জড়িয়ে ধরে। হয়তো কখনো তুমি বুঝবে না আমাকে। হয়তো কখনো তুমি খুজবে না আমাতে তোমার আপন ঠিকানা। তবু আমার মাঝে তুমি আমার ছিলে, আমারি আছো, আমারি থাকবে আজীবন।  কখনো বুঝিনি দুর থেকে ভালবাসা স্বাদ কত মধুর, কিন্তু আজ বুঝি!!!!! আর বুঝি বলেই তোমাকে আমি আজও পাগলের মতো ভালবাসি।

একদিন সকালে তোমাকে জাগাতে গেলে তুমি ঘুমের ঘোরে আমার হাতটা টেনে নিজের বুকের ভিতরে টেনে নিয়ে বলেছিলে আমার হাতটা কখনো ছাড়বে না তুমি। শক্ত করে ধরে রাখবে, আমি ইতস্তত ভাবে বলেছিলাম আচ্ছা ঠিক আছে, তবে এখন তো ছাড়ো, তা না হলে কেউ দেখলে বদনাম হয়ে যাবে, তবুও তুমি ছাড়ছিলে না, শেষে আমি জোর করে ছাড়িয়ে নিয়েছিলাম,আজ হয়তোবা সেসব স্মৃতি তোমার ভুলেও মনে পড়ে না, কিন্তু আমি তো তোমার মতো হতে পারিনি, হাজার চেষ্টা করেও। 

তোমার মনে আছে রাজকন্যা, একবার রোজার ঈদে সেলামি হিসাবে আমি তোমাকে একশত টাকা দিলে তুমি আমাকে এক টাকার একটা কয়েন দিয়েছিলে, হয়তো টাকাটা খুবই সামান্য কিন্তু সেই টাকাটা আজো আমার কাছে আছে। তোমার দেওয়া স্মৃতি হয়ে। আমি খুব যত্ন করে নিজের কাছে রেখেছি সেটা।

মনে পড়ে তোমার ১২/১২/১২ তারিখের কথা!!!! যেদিন আমি তোমাকে আমার জীবনের প্রথম উপহার টা দিয়েছিলাম। সেদিন ও বুঝতে পারিনি যে কিভাবে তোমাকে আমি এটা দেব!!! সারাদিন অনেক চেষ্টা করেও দিতে পারিনি,  খুব আপসেট ফিল করছিলাম আমি। কারণ এটা ছিল আমার জীবনের প্রথম উপহার। যেটা আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ দিনে আমার সবচেয়ে আপন মানুষটাকে দিতে চেয়েছিলাম দিনটাকে সারাজীবন মনের খাতায় বেধে রাখবো বলে। সাহস পাচ্ছিলাম না, যে তুমি এটাকে কিভাবে নেবে! এর ভয়ে। শেষবেশ তোমার বইয়ের ভিতরে করে সেদিন রাত্রে তোমাকে দিয়েছিলাম উপহারটি। হয়তোবা উপহারটি তোমার কাছে কোন মূল্য না ও থাকতে পারে। হয়তোবা তুমি উপহারটি ফেলে দিতেও পার। কিন্তু উপহারটা আমার কাছে মহামূল্যবান। এটার সাথে আমার জীবনের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। নিজে কষ্ট করে টাকা আয় করে কেনা ছিল নাকফুলটি। আমি কখনো চাইনি আমার ভালবাসায় কারো অনুগ্রহ থাকুক। তাই নিজের আয়ের টাকা দিয়ে স্বর্ণের নাকফুলটি কিনেছিলাম আমি। হয়তো বেশি দামি ছিলনা ওটা। কিন্তু তখন আমার কাছে খুব বেশি সামর্থ ও ছিল না। তোমাকে বইটি দিয়ে যখন বলেছিলাম যে বইয়ের ভিতরে একটা জিনিস আছে পিন দিয়ে বাধা। তখন তুমি একটা হাসি দিয়ে বলেছিলে কী জিনিস? আমি বলেছিলাম তুমি দেখে নিও। আর হ্যা জিনিসটা কিন্তু মনে করে পরো। কারণ তোমার সাথে ওই জিনিসটা খুব ম্যাচ করবে। তুমি মৃদ হেসে বলেছিলে আচ্ছা!!!!!
কিন্তু আমি কখনো নাকফুলটি তোমায় পরতে দেখিনি। আমি যখনই বলতাম ওটা পরো তখন তুমি বলতে ওটা পরার এখনো সময় হয়নি। অবশ্য তারপর তুমি আমার নাকফুলটার মতো অন্য কালারের পাথর দিয়ে তৈরী আর একটা নাকফুল কিনেছিলে!!!!! কিন্তু আমার দেওয়া নাকফুলটি পরো নি। সেদিন আমি বুঝতে পারিনি যে নাকফুল না পরার কারণ। কিন্তু আজ বুঝতে পারছি। আসলে তুমি আমাকে মন থেকেই চাওনি। তুমি শুধু আমার সাথে ছলনা করে গেলে। একবারও আমার ভালবাসা বুঝতে চেষ্টা করোনি। আমার ছোট বেলা থেকে একটা ইচ্ছা ছিল যে, আমি যদি কখনো কারো মন থেকে ভালবাসি। তবে তাকে আমি প্রথম যে উপহারটি দেব সেটা স্বর্ণের হবে। তাই অনেক চেষ্টা করে তোমাকে দিয়েছিলাম এটা। বিশ্বাস করো আমার মনের ভিতরে তোমার ভালবাসার এতটুকুও ঘাটতি ছিল না। আমি তোমাকে বড্ড বেশি বিশ্বাস করেছিলাম। আমি এটাও বিশ্বাস করেছিলাম যে তুমি আমাকে ছেড়ে কখনো চলে যাবেনা। কিন্তু আমার যে বিশ্বাসটাই বড় ভুল হয়ে গিয়েছিল আমি সেটা কখনো বুঝতে পারিনি। আমার ভালবাসায় জড়ানো উপহারটি যে আমি ভুল করে ভুল মানুষকে দিয়ে ফেলেছি তা আমার বিশ্বাস করতেও কষ্ট হয়। 
তুমি হঠাত করে এত চেন্জ হয়ে গেলে কি করে বলোতো!!!! তোমাকে তো আমি কোন ক্ষতি করিনি, তাহলে কেন তুমি আমার এত বড় ক্ষতি করলে!!!!! কেন তুমি আমার থেকে আমার হাসি, আনন্দ, সুখের দিনগুলো কেড়ে নিলে!!! জানি এসব প্রশ্নের কোন উত্তর তোমার কাছে নেই। থাকবে কি করে বলো, আসলে তুমি নিজেও জানো না আসলে তুমি কি চাও। অহংকার তোমার মস্তিস্ককে বিকলিত করে ফেলেছে!!!!!!!

 যেদিন কেউ তোমাকে কষ্ট দিবে,,,, সেদিন বুঝবে আমার ভালবাসা কতটা গভীর ছিল,,,, কতটা ভালোবেসে ছিলাম তোমাকে,,, আমি জানি আমাকে তোমার মনে পড়বে তখন? হয়ত সেদিন আমি তোমার কাছ থেকে অনেক অনেক দূরে থাকবো,,,, সেদিন তুমি ও বুঝবে কষ্টটা কি? তোমাকে ও একদিন কাঁদতে হবে,,, যেদিন সত্যি কাউকে ভালোবাসবে,,, সেদিন নিরবে তোমাকেও চোখের জল ফেলতে হবে,,,,,   

যতটা ভালবেসেছি তোমাকে ততোটা আর কাউকে বাসিনি... যতটা কান্না করেছি তোমার জন্য প্রতি রাতে , ততোটা অশ্রু আর কারো জন্য ঝরেনি । যতটা প্রহর গুনেছি তোমার অপেক্ষায় , ততোটা হয়তো আর কারো জন্যই করিনি। কোন দিন বুঝতেও চাইলে না যে তোমাকে কতটা ভালবাসি। অার বুঝবেও বা কেন তুমিতো কখনো আমাকে ভালই বাসনি!!!!!!

তোমার অবহেলা প্রতিনিয়ত আমাকে শেখাচ্ছে কিভাবে কষ্টকে জয় করতে হয়, কিভাবে অন্ধকারে পথ চলতে হয়, দেখো! একদিন ঠিকই শিখে নেব সবই, ঠকতে ঠকতে একদিন জিততে শিখব ঠিকই, সেদিন অামার মতো তোমাকেও কাদতে হবে নিরবে, তখন হয়তো তোরমার চোখের জল মুছতে অার ফিরবো না অামি।
সারাদিন হয়তো তোমায়ভুলে থাকতে পারি,কিন্তু রাত যে কিছুতেই তোমায় ভুলতে দেয়না সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে যখন নিজেকে সময় দেই,তখনই তোমার কণ্ঠস্বর শুনতে পাই । বাতাসের মাঝে তোমার স্পর্শ পাই, মনে হয় আজো তুমি আমারই আছো ।এখনও আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট  হয় যে তুমি আমায় ছেড়ে চলে গেছ। 
তবুও কষ্ট পেতে পেতে একসময় সব মানিয়ে নেব, তোমার দেওয়া কষ্টগুলো যখন প্রচণ্ড বেগে বেড়ে যায় যখন নিজেকে অার সামলাতে পারি না তখন তোমাকে আজে বাজে কথা এসএম করে কষ্টগুলো হালকা করি, বিশ্বাস করো এগুলো আমার মনের কথা না!!!!!!!
স্বপ্ন দেখেছিলাম তোকে নিয়ে আমি, ছোট্ট একটা ঘরের, কিন্তু..........! 
আজও ঘুম থেকে জাগি, আজও রাতে ফিরি, কিন্তু..............???????
 একদিনের সেই আমি আজ তোমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে ঘৃনিত ব্যক্তি, কিন্তু কেন এমন হলো? হঠাৎ করে তুমি কেন এমন হয়ে গেলে!!!!!! আজও আমি এ প্রশ্নের মুখোমুখি হলে চোখের জলকে সামলাতে পারি না, বাধ ভাঙ্গা নদির মতো আমার অস্রু নিরবে ঝরে পড়ে অঝোরে!!!!!আজও আমি এর হিসাব মেলাতে পারিনা।

আসলে পৃথিবির মানুষ যে এতবড় স্বার্থপর হয়, আমি কখনো বুঝতে পারিনি, কেন এমন হয় আমার সাথে??????? আজ কতদিন হয়ে গেল অন্তত একটি বারের জন্য হলেও আমাকে তুমি খবর নিলে না যে আমি কেমন আছি!!!! আর দেখ আমি তোমার জন্য পাগলের কত কিছুই না করছি, হাজার কাজের ভিড়েও তোমাকে মিস করছি, শত চেষ্টা করে তোমার নাম্বার জোগাড় করা, তোমার কথা শোনার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইলের বিল খরচ করা, তোমার সাথে কথা বলতে গিয়ে তোমার বন্ধুদের গালমন্দ শোনা!!!!! এগুলোর কি কোন ফিলিংস নেই তোমার কাছে?????? আাসলে সেদিন তুমি ঠিকই বলেছিলে!!!!! সত্যি আমি একটা ছ্যাচড়া!!!!!!

এতটাই ঘৃনা করো তুমি আমাকে? আমার ভাবতে খুব কষ্ট হয়, যে যাকে আমি আমার থেকে বেশি ভালবাসি সে কি না আমাকে এত বেশি ঘৃনা করে। আমার ভাবতে খুব কষ্ট হয় যে আমার নাম্বারগুলো সে আজ ব্লাকলিস্টে রেখেছে, আমার ভাবতে কষ্ট হয় যে আমার ফেসবুক আইডিটাও ব্লক দিয়ে রাখছে, আসলে আমি কি এতটায় খারাপ? আমি যদি চাইতাম তোমার জিবনের অনেক বড় খতি করতেও পারতাম, কিন্তু আমি আমার ভালবাসাকে শ্রদ্ধা করি, সম্মান করি আমার ভালবাসার মানুষটাকে, তাই আমি তোমার সম্মানটাকে কোন আচড় লাগতে দেইনি। আমি তোমার পিক ও আপলোড করতাম না কখনো, কিন্তু আমাকে বাদ্ধ করেছ এটি করতে। এতে আমার কোন দোষ নেই। 


কেউ একজন তোমার একটা SMS এর জন্যে সারাটাদিন অপেক্ষা করে আছে আর তুমি খুব যত্ন সহকারে Avoid করছো তাকে। মানুষ টা তোমায় দিনে ত্রিশটা করে ফোন দিচ্ছে আর তুমি ফোন টা সাইলেন্ট মুডে ফেলে রেখে জোর করে প্রমান করাচ্ছো তুমি ব্যস্ত। প্রচন্ড
ব্যস্ত। কাউকে ইগনোর করার মাঝে যতটুকু বেহায়া আনন্দ তুমি পাচ্ছো, তার থেকে ও বেশি কষ্ট পেয়ে ঐ মানুষটি তোমায় বেহায়ার মতো ভালোবেসে আবারো ফোন দেয়........

 
 
 
তুমি এখনো বুঝবেনা, তোমার দেওয়া এই কষ্ট গুলো বুমেরাং এর মতোই। যার দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছো, তার কাছ থেকে আবার তোমার কাছেই ফিরে আসবে। দু'দিন, দু'মাস, দু'বৎসর পর হলেও ফিরে আসবে। তখন আস্তে আস্তে বুঝতে পারবে কাউকে এভয়েড করার থেকে ধারালো কিছু দিয়ে তার একটা একটা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে নেওয়ার যন্ত্রনা সহ্য করা তার জন্য কম কষ্টকর..... মানুষ নামক প্রচন্ড অভিমানী প্রানীটা এভয়েড করা একদম সহ্য করতে পারেনা..........
আর হ্যাঁ, একটা কথা। কেউ তোমার জন্যে অপেক্ষা করে; এটা ভেবে বসে থেকোনা তুমি সেলিব্রেটি। সবাই অপেক্ষা করতে জানেনা, আর যে অপেক্ষা করতে জানে সে গভীরভাবে ভালোবাসতে ও জানে। খুব কম সৌভাগ্যবান রাই এমন ভালোবাসার খোঁজ পেয়ে ধরে রাখতে পারে।বাকিরা পেয়ে ও হারিয়ে ফেলে.....। তারপর কোনো একদিন. যখন সব হারিয়ে শুন্য দুহাত বাড়িয়ে হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা টা হন্য হয়ে খুঁজে, ঠিক তখন ভালোবাসা টা মানুষটির শুন্য হাত দুটো কে খুব যত্ন করে এভয়েড করে, ইগনোর করে। বুমেরাং টা ফিরে এসেছে; বেহায়ার মতোই....  

অনেক চেষ্টা করেছি তোমাকে বোঝাতে, কিন্তু তুমি যখন বুঝবে না তখন আমার আর কিছু করার নাই, তুমি নির্মম সত্যগুলো সবার কাছে মিথ্যা বলে প্রমান করতে পারো, কিন্তু নিজের কাছে কখনো পারবে না, হয়তোবা তোমার বিয়ের পবিত্র বাসর রাতেও তোমাকে মিথ্যা বলতে হবে যে, তুমি স্বতি নারী!! কিন্তু তুমি তোমার বিবেকটাকে প্রশ্ন করে দেখোতো!! সত্যি তুমি স্বতি কি না! কারন তোমার স্বামি তোমার যেখানে পবিত্র মনে স্পর্শ  করবে, সেখানে আমার ছোয়া লেগে আছে, এটা হয়তো সে কখনো জানবে না তবে তুমি ভাল করেই জানো! তাহলে তুমি কি তোমার স্বামীকে ঠকালে না! তার বিশ্বাসকে নিরবে গলা চেপে মারলে না! আর তোমাদের বন্ধন একটা নির্মম মিথ্যা দিয়ে শুরু হলো, 
ঠিক বল্লাম কি! প্রতিটি মেয়ের শ্রেষ্ট সম্পদ হলো তার স্বতির্থ, যায় হোক হয়তো এমন প্রশ্নের মুখমুখি আমাকেও হতে হবে বলে অনেকবার তোমাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু তো...............!!!!! 
মিথ্যা দিয়ে সংসার হয় কিন্তু প্রকৃত সুখ পাওয়া যায় না।  
 আমি তোমাকে আর কখনো ঝামেলা করবো না, এখন থেকে তোমার আমার রাস্তা আলাদা, আর কখনো ফেরানোর ও চেষ্টা করবো না তোমাকে! তবে যদি কখনো তোমার বিবেকটাকে কাজে লাগাতে পারো, তাহলে ভেবে দেখ তুমি কি করবে, আর প্লিজ আমার মতো কাউকে ঠকিও না, তাহলে পাপ কিন্তু তোমাকে ছাড়বে না!!







rajkonna plez comeback my life, plez don't avoid me, plez accept my request.plez plez we r spended happy enjoyable life have u look!! just don't forgave me, I am so empty without u.......plez try to understad. I am so lonely without ur company......... plez plez plez comeback. I managed everything, u r a part of life, plez come back............


 
{গল্পটি আমার জিবন নিয়ে লেখা, আমি যখন খুব দুকখে থাকি, যখন খুব আপন একজনকে  মিস করি, তখন তার রেখে যাওয়া স্মৃতিগুলো মনে করার চেষ্টা করি।}

গল্পটি পড়ে যদি কারো ভালো লাগে তাহলে প্লিজ শেয়ার, লাইক করুন।

গল্পটি লেখা চলতে থাকবে

 
 
 
RJ. KABIR


12 No. Mirpur Mazar Rd, Dhaka-1212
01959803860